আমেরিকায় ছেলের কাছে বেড়াতে এসেছি, অফুরন্ত অবসর। সময় কাটানোর জন্য তাদের কম্পিউটারে দেশে নাতনিদের কাছে চিঠি লিখি। দেখে ছেলে এবং বউমা বলল, আপনার মতো বৈচিত্রময় ঘটনাবহুল জীবন আর কয়জন দেখেছে, সেটাই লিখে ফেলেন না কেন ? আমাদের ছেলেমেয়েরা বড় হয়ে পড়বে।
তাদের কথায় লিখতে শুরু করেছিলাম। ” জীবন যে রকম ”
ভূমিকায় একটা ছোট জিনিস বলে নেয়া দরকার। চেষ্টা করেছি জীবনের শুধু সেইসব ঘটনার কথা উল্লেখ করতে যেগুলো একালে দশজনের কাছে বৈচিত্রময় মনে হতে পারে, তবুও স্থানে স্থানে একান্ত পারিবারিক কথা এসে গেছে। যখন আমার বড় ছেলে হুমায়ুন আহমেদের কথা এসেছে সেটা বেশির ভাগ সময়েই রেখে দিয়েছি দুটি কারণে। প্রথমত, বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হবার পর তার শৈশব, তার ব্যক্তিগত ইতিহাস শুনতে অনেকে আমার কাছে এসেছে , তাদের কৌতূহল নিবৃত্ত করার একটু চেষ্টা দ্বিতীয়ত, শৈশবে যাদের ভালোবাসায় সে বড় হয়েছে কিন্তু তার স্মরণে নেই বলে যাদের কথা সে “আমার ছেলেবেলায় ” বইয়ে লিখতে পারেনি, তাদের প্রতি তার হয়ে আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার একটি আন্তরিক প্রচেষ্টা।
You must be logged in to post a comment.