রবীন্দ্রনাথ তখন তেইশ, নতুন বউঠান কাদম্বরীদেবী মাত্র পঁচিশ। ১৮৮৪ সালের ১৯শে এপ্রিল আফিম খেলেন নতুন বউঠান, আত্মহত্যার চেষ্টায়। মারা গেলেন ঠিক দুদিন পর।
কেন আত্মহত্যা করেছিলেন রবির প্রাণের সখা কাদম্বরীদেবী? কেন প্রবলপ্রতাপ বাবমশাই দেবেন্দ্রনাথের আদেশে আত্মহত্যার সব প্রমান পুড়িয়ে ফেলা হল? ঘুষ দিয়ে বন্ধ করা হল সকলের মুখ? কাদম্বরীদেবী কি লেখেননি কোনও সুইসাইড নোট ? নাকি লিখেছিলেন ? যা পুড়িয়ে ফেলা হয় !… সেই সুসাইড নোটে কি সত্যিই কিছু অস্বাভাবকিতা ছিল ? লুকিয়ে ছিল গোপন গহন ব্যাথা ? লেখক বলেছেন, ‘ঠিক সুইসাইড নোট নোই। এক সুদীর্ঘ চিঠি। চিঠির সর্বাঙ্গ ঝলসে গেছে আগুনে। …. ঝলসানো চিঠিটাকে কে বাঁচিয়েছিলেন আগুন থেকে ? রবীন্দ্রনাথ ?…’ চলুন পাঠক, আমরা ফিরে যাই ১২৭ বছর পূর্বের সেই রহস্যাবৃত সময়ে। চিঠি নয়, এ এক হতভাগ্য তরুণীর বেদনা বিধুর উপখ্যান।