23
Tikorparay Gharial : Suchitra Bhattacharya – টিকরপারায় ঘড়িয়াল – সুচিত্রা ভট্টাচার্য
দূরপাল্লার কোনও ট্রেনের কামরা যে এত ফাঁকাও যায়, টুপুরের ধারণা ছিল না। হাওড়া থেকে ছাড়ছে গাড়ি, যাবে সেই অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতি। অথচ টুপুরদের টু টিয়ার এসি কোচের খান পঞ্চাশেক বার্থে যাত্রীসংখ্যা কিনা সাকুল্যে দশ ! ওঠার সময়ও দেখেছে টুপুর, গোটা ট্রেনটাতেই লোকজন নেই বিশেষ।
এত নির্জন গাড়িতে রাতদুপুরে ডাকাতিফাকাতি হবে না তো ? অবশ্য তেমন কিছু ঘটলে তো টুপুরেরই পোয়াবারো। ডাকাতরা আর তাদের কাছ থেকে কী-ই বা নেবে ? দু’খানা মোবাইল ফোন, ঘড়ি, কিছু টাকাপয়সা আর পার্থমেসোর দামী ডিজিটাল ক্যামেরাটা। ওই ক্যামেরাখানা পার্থমেসোর প্রাণ।
তবে ডাকাতদের সঙ্গে যদি মিতিনমাসির মুখোমুখি টক্কর হয়, যে অভিজ্ঞতা টুপুরের ভাঁড়ারে জমবে, তার দাম তো ওই ক্যামেরার চেয়ে ঢের-ঢের বেশি। পেশাদার গোয়েন্দা হওয়ার সুত্রে মিতিনমাসির কাছে আজকাল রিভলবার তো থাকেই।